রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৩ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
মোহাম্মদপুরে সন্ত্রাসী রহিম ও তার ছেলের অত্যাচার নির্যাতনে অসহায় এলাকাবাসী উত্তরা ব্যাংকের এমডি রবিউল হোসেনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও অপসারনের দাবিতে রাজপথে বিল্পবী ছাত্র জনতা ইসরায়েলি বর্বর হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৪৪ হাজার সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়াকে দেখে কেঁদে ফেললেন মির্জা ফখরুল সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে ওসমানী জাতীয় স্মৃতি পরিষদ-এর বিশেষ বাণী জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের সদস্য হলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা খ. ম. আমীর আলী ছাত্র বৈষম্য আন্দোলনে আহতদের জন্য আর্থিক সহায়তা নিয়ে পাশে বিএনপি নেতা মোঃ সাইফুল ইসলাম নরসিংদীর মনোহরদীতে প্রথমবারের মতো বিজ্ঞানক্লাব ‘নেবুলাস’-এর যাত্রা শুরু প্রথমবারের মতো সচিবালয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস গার্মেন্টস ব্যবসায়িদের নিঃস্ব করে কোটি টাকা প্রতারণা করে লাপাত্তা কৃষক লীগ নেতা হান্নান শেখ!
অন্যকে ফাঁসাতে দুই বছরের সন্তানকে হত্যা করে মা ও বাবা!

অন্যকে ফাঁসাতে দুই বছরের সন্তানকে হত্যা করে মা ও বাবা!

ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে কুয়া থেকে আয়েশা খাতুন (২) নামের এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শিশুটির মা, বাবা ও মামাকে আটক করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার জুগলী ইউনিয়নের গিলাবই গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আয়েশা খাতুন ওই গ্রামের বাদশা মিয়ার মেয়ে।

থানা পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, বেশ কিছুদিন ধরে আম্বিয়ার সঙ্গে তার বড় ভাই তোফাজ্জল হোসেন ও তার আত্মীয়দের জমির ওয়ারিশ নিয়ে বিরোধ চলছিল। এ ঘটনায় তাদের ফাঁসাতে হত্যার পরিকল্পনা করেন নিহতের মা ও বাবা। পরিকল্পনা অনুযায়ী সোমবার রাতের কোনো এক সময় আম্বিয়া পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী তার দুই বছরের শিশুকন্যাকে বালিশচাপা দিয়ে হত্যা করেন। পরে রাতের অন্ধকারে পার্শ্ববর্তী হালিমা খাতুনের বিশুদ্ধ পানির কুয়ায় লাশ ফেলে আসেন। এ ঘটনায় তার স্বামী তাকে সহযোগিতা করেন। হত্যার পর দায় তোফাজ্জলের ওপর দিতে বিভিন্ন কথা ছড়ান তারা।

 

মামলার বাদী জুবেদা খাতুন বলেন, ‘এরা অমানুষ। জমির ওয়ারিশের জন্য নিজের মেয়েকে কেউ এভাবে হত্যা করতে পারে? আমি এদের ফাঁসি চাই। আর যেন কোনো বাবা-মা নিজের সন্তানকে এভাবে হত্যা করতে না পারে। ’

ওসি মো. শাহিনুজ্জামান খান বলেন, ‘আমাদের প্রথম থেকেই সন্দেহ হয়েছিল। গভীর রাতে দুই বছরের শিশু হেঁটে হেঁটে কুয়াতে পড়তে পারে না। আর শিশুটি যেহেতু মা-বাবার সঙ্গে ছিল। তাই আমরা শিশুটির মা-বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসি। জিজ্ঞাসাবাদে আম্বিয়া তার ভাই তোফাজ্জল ও তার আত্মীয়দের ফাঁসাতেই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে স্বীকার করেছে। এ ঘটনায় তার স্বামী তাকে সহযোগিতা করেছে। ’

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2011 VisionBangla24.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com